মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি | Free Website Make In Mobile

মোবাইল দিয়ে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করুন ধাপে ধাপে শুধুমাত্র আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে।
Create website in mobile.


হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন।
আজকের পোষ্টের টাইটেল/Title এবং থাম্বনেইল দেখে অনেকেই এতোক্ষণে বুঝে গেছেন আজকে আমি কি বিষয় নিয়ে লিখতে বসেছি।

হ্যা,আজকে আপনি জানতে চলেছেন এবং শিখতে চলেছেন কিভাবে একটি প্রফেশনাল ব্লগ/Blog সাইট তৈরি করতে হয়।
যারা যারা নিজের নামে,পছন্দের স্বার্থে অথবা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান এবং আয়-ইনকামের জন্য বিনা পুজিতে সামান্য মেধা খাটিয়ে ওয়েবসাইট করতে চান এই পোস্টটি শুধুমাত্র তাদের জন্য। 
আমি মনে করি আজকের লেখাটি আপনাকে নিয়ে যাবে সেই লক্ষে।
অত,এব আজকের লেখাটির শুরু থেকে মন দিয়ে শেষ অব্দি যাবেন।
আজ আমরা আমাদের জিমেইল/Gmail আইডি দিয়ে ব্লগস্পট/Blogspot দ্বারা সম্পুর্ন ফ্রীতে একটি ওয়েবসাইট বানিয়ে নিবো।
মাত্র ৫টি ধাপে আমরা ব্লগ দ্বারা ওয়েবসাইট বানানোর কাজ শেষ করবো তাই মন দিয়ে খেয়াল করবেন।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে কিছু জিনিসের দরকার পড়বে নিচেই আলোচনা করছি।
প্রথমত দরকার পড়বে আপনার ইচ্ছা আর আত্যবিশ্বাসের। হ্যা,কথাটি শুনতে খারাপ লাগলেও সত্য।
আপনার ভিতরে যদি ইচ্ছা শক্তি /ধৈর্য চলমান না থাকে তাহলে আপনি কোন কিছুই করতে পারবেন না।
আপনাকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে,বুঝতে হবে,তারপর এগিয়ে যেতে হবে।
এই পৃথিবীতে কোন কাজ ছোট নয়, কোন কাজ সহজ নয় আর তাছাড়া পরিশ্রম ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়।

এরপর দরকার হবে একটি জিমেইল/Gmail একাউন্টের অর্থাৎ আমাদের এন্ড্রয়েড ফোনে যেটা ব্যাবহার হচ্ছে এটাই।
গুগল একাউন্ট -প্রতিক ছবি

আমাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোনে ব্যবহারিত Google Account দিয়ে অনেক কিছুই করা সম্ভব যার ভিতরে অন্যতম ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা এবং ব্লগ সাইট তৈরি করা। 
এছাড়াও ইমেইল আদান প্রদান সহ Play Store থেকে এপ্স নামাতে গেলেও এর ভূমিকা অন্যতম।
যাদের ফোনে এই জিমেইল একাউন্ট আছে তারা দেখতে থাকুন আর যাদের ফোনে এটা নাই তারা এখানে ক্লিক করে তৈরি করে নিন।
ব্যাস জিমেইল হয়ে গেলো এবার চলে যাবো আমরা দ্বিতীয় ধাপে।
এই ধাপের কাজটি এক্কেবারে সহজ করে বুঝিয়ে দিবো যার ফলে অত্যান্ত সুন্দর ভাবে শিখতে/করতে পারবেন।
তবে, সহজ বললাম এই জন্য ভেবে নিবেননা সব-কিছু পানির মত বুঝলেন!
  • ব্লগের নাম নির্বাচন / Blog Name Choice. 
  • ব্লগের বিষয় বস্তু / Blog Description.
  • ব্লগের জন্য লোগো / Logo Create.

এই তিনটি ধাপে শেষ করবো দ্বিতীয় ধাপের কাজ তাই অবশ্যই এই তিনটি জিনিস একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে খুবই জরুরি।
ব্লগের নাম নির্বাচন অর্থা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার কথা যখন ভেবেছেন নিশ্চয় ওয়েবসাইটের নামের ব্যাপারেও আপনি নিশ্চিত আছেন।
কি নামে আপনার ওয়েবসাইটটি পরিচিতি লাভ করবে এবং কি নামে আপনি পপুলারিটি অর্জন করবেন সেটাই। 
আপনার ওয়েবসাইটের নাম আপনার নিজের নামেও হতে পারে অথবা কোন বিষয় বস্তুর উপরেও হতে পারে।

এরপর ব্লগের বিষয় বস্তু / Blog Description/About লিখতে হবে। 
আপনার ফোন অথবা কম্পিউটারের নোট প্যাডে ছোট করে আপনার ব্লগের বিষয় বস্তু লিখেনিন।
মনে রাখবেন আপনি যে ধরনের লেখা পাব্লিশ করতে চান ঠিক সেই টাইপের একটি বিষয় বস্তু লিখুন।
ধরে নিলাম আপনার ব্লগের নাম "প্রযুক্তির কথা"
তাহলে আপনাকে প্রযুক্তি রিলেটেড এবাউট লিখতে হবে যেমন,আমি একজন বাংলাদেশি ব্লগার,প্রযুক্তির কথা ব্লগের মাধ্যমে আপনি তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কে জানা অজানা অনেক কিছুই জানতে পারবেন।
সাথে থাকুন 'প্রযুক্তির কথা ব্লগের'
আপনি সুন্দর করে অল্প কথায় আপনার ব্লগের বিষয় বস্তু তুলে ধরবেন। আমি বোঝানোর স্বার্থে লিখলাম মাত্র।

এবার দরকার হবে একটি লোগোর।আপনি আপনার ব্লগের নাম অনুযায়ী একটি লোগো বানিয়ে নিবেন। যদি লোগো বানাতে না পারেন তাহলে আপনার ফোনে Pixellab এপ্সটি প্লে স্টোর থেকে ইন্সটল করে নিতে পারেন। 
এরপর এপ্সটি ওপেন করলে এমনটা দেখাবে,
Pixellab Apps.

এরপর New Text লেখাটির উপরে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটের নাম লিখুন। 
নিচের অপশন গুলো স্লাইড করলে Font Style, Colour, 3D মুড ইত্যাদি পেয়ে যাবেন।
Pixellab Style.
এভাবে ধাপে ধাপে চেষ্টা করুন অবশ্যই আপনি পারবেন আর যদি বানাতে সমস্যা হয় তাহলে ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করুন " How To Make Logo In Pixellab.
পিক্সেল ল্যাব দিয়েই যে বানাতে হবে এমনটা নয়,আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোন এপ্স দিয়ে কাজটি করতে পারেন।

একিই ফরম্যাটের লোগো দুই সাইজে বানিয়ে নিবেন।
  1. Square Logo.
  2. Landscape Logo.

 
Square logo - example


এরকম চারিদিকটা একিই মাপের হবে, যেমন ৫০০×৫০০ পিক্সেল।
Landscape logo-example.

আপনারা সুন্দর করে তৈরি করে নিবেন আমি বোঝানোর স্বার্থে দ্রুত বানালাম "ভালো হয়নি এর জন্য দুখ্যিত।

এবার আমরা শুরু করবো ৩য় ধাপের কাজ। এবার শুরু করতে যাচ্ছি আমাদের আজকের টিউটোরিয়ালের মূল অধ্যায় " ব্লগস্পট দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি।
এতোক্ষণে আমরা শিখতে পারলাম একটি জিমেইল একাউন্ট লাগবে,ওয়েবসাইটের নাম নির্বাচন,ব্লগের ডেসক্রিপশন/বিষয় বস্তু লেখা এবং লোগো তৈরির প্রক্রিয়া  সম্পর্কে।

এবার আমরা সোজা চলে যাবো গুগলের অন্যতম একটি প্লাটফর্ম ব্লগস্পট ডট কমে। ব্লগ স্পটে প্রবেশের জন্য নীল অংশে ক্লিক করতে পারেন অথবা www.blogger.com এ ভিজিট করতে পারেন।
যেখানেই ক্লিক করুন না কেন জায়গা একিই।
এরপর প্রবেশের সাথে সাথে আপনার সামনে নিচের মত একটি পেইজ ওপেন হবে। 
Create Blog Site Bangla.
ব্লগার ডট কমে প্রবেশের সাথে সাথে এরকম একটি ইন্টারফেস সামনে আসবে। আপনার ই-মেইল/জিমেইল যদি লগ-ইন করা না থাকে তাহলে উপরে SIGN বাটনে ক্লিক করে লগ-ইন করে নিবেন।
তারপর CREATE BLOG বাটনে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনার সামনে আরেকটি পেইজ ওপেন হবে।
Blog Name Option.

এখানে আপনার ব্লগের/ওয়েবসাইটের নাম দিন। নামের ক্ষেত্রে আপনি বাংলায়ও লিখতে পারেন কোন সমস্যা হবে না।
এরপর নাম লেখা হয়ে গেলে NEXT বাটনে ক্লিক করুন।
পরের পেইজ ওপেন হলে আপনাকে ব্লগের এড্রেস লিখতে বলবে,নিচের চিত্রের মত।
Blog URL Create. 

উপরের ছবির দিকে খেয়াল করুন আমি ব্লগে যে url ব্যবহার করতে চাচ্ছি সেইম নামে আগেই ব্লগ তৈরি করা হয়েছে এই জন্য নিচেই লাল রংগে লেখা রয়েছে, Sorry,this blog address is not available. 
তবে কি আমারা ব্লগ সাইট তৈরি করতে ব্যর্থ হলাম! 
জ্বি না,আমরা একটু ডিফারেন্ট ভাবে url দিবো। 
Blog url create success.

prujuktikotha আগে ছিলো। এখন হল pruktikothabd হ্যা,তবে আপনারা ব্লগ সাইট তৈরি করার আগে অবশ্যই পছন্দের নাম একটু গুগলে সার্চ করে দেখবেন।
কোন ওয়েব সাইটের নাম হুবহু কপি করবেন না। যদি কোন ওয়েবসাইটের নাম কপি করেন তাহলে সাইট এসইও(SEO) হতে ব্যাপক সমস্যা হবে। এমনকি ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট গুলো ভিউস না পেয়ে ভিজিটর হারাবে এতেকরে আমাদের কষ্ট বিফলে চলে যাবে।
তাই চেষ্টা করবেন ডিফারেন্ট নাম চয়েস করার জন্য।
যে নামে কোন ওয়েবসাইট নাই তেমন নামই দিবেন, চেষ্টা করবেন একটু ইউনিক নাম ব্যবহার করার জন্য।
Unique Name বলতে যেসব নাম লিখে আমরা সচারচর সার্চ করে থাকি।

যাইহোক এবার চলে যাবো পরের ধাপে। এবার আমরা লিখবো ব্লগের বিষয় বস্তু সম্পর্কে। 
২০০অক্ষরের মধ্যে লিখে নিবেন Your Blog About/Description. 
Blog About-Description

ব্লগের বিষয় বস্তু লেখা হয়ে গেলে FINISH বাটনে ক্লিক করুন ব্যাস হয়ে গেলো আমাদের ব্লগ সাইট তৈরির ৩য় ধাপের কাজ।
আমাদের ব্লগের ড্যাসবোর্ড অর্থাৎ ব্লগের কন্ট্রল প্যানেল দেখতে হবে এমনটা,নিচের ছবির মত।
Blog Dashboard. 

উপরে খেয়াল করুন আমি ব্লগের নাম ব্যাবহার করেছি বাংলাতে আর ব্লগের ইউআরএল ইংলিশে।
ইউআরএল যেন বাংলাতে লিখতে যাবেন না।
এবার যদি আমরা ব্লগটি ভিউ/View করি তাহলে দেখতে লাগবে এমনটা।
Blog Seen.
কোন পোস্ট করা হয়নি, ব্লগটি কাস্টমাইজডও করা হয়নি এই জন্য এটা দেখতে এমনটায় লাগছে ।
এখন আমাদের প্রথম কাজ হবে ব্লগটিকে সঠিক ভাবে Customised করা।
আমরা এমনভাবে এটাকে কাস্টমাইজড করবো যাতে দেখতে এক্কেবারে অসাধারণ লাগে।
এরজন্য প্রয়োজন হবে একটি সুন্দর Template / Theme এবং ব্লগের সেটিংস গুলো নিজেদের কন্ট্রোলে নিয়ে আশা।
আপনি ব্লগের নিজেস্ব থিম কাস্টমাইজড করেও অসাধারণ Look দিতে পারবেন। তবে আজকাল আধুনিক যুগে এসে আরো একটু ঝিকঝাক Look দরকার তানাহলে আমাদের ভিজিটররা সাইটে প্রবেশ করে যখন দেখবে এক্কেবারে সাদামাটা তখনিই সাইট থেকে বেরিয়ে যাবে।
পোষ্ট পড়বে না কেননা আজকের যুগে এসে কালো বর্ণের মানুষের মুখে বলা মিষ্টি কথা কেও শুনতে চাইনা।
তাই বিশেষ করে ব্লগ সাইটে একটা ফাটাফাটি লুক দিতে হবে।

কিভাবে ব্লগ সাইটকে আকর্ষণীয় করতে পারি! 

ব্লগ সাইটকে দেখতে আকর্ষণীয় করতে চাইলে প্রথম দরকার হবে সুন্দর একটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ব্লগ টেম্পলেট অর্থাৎ Blog Theme.
আপনি যদি গুগলে Blog Template লিখে সার্চ করেন তাহলে হাজার হাজার Template প্রদর্শন হবে।
প্রতিটি টেমপ্লেট Free এবং Premium পাওয়া যায়। 
ফ্রী ভার্শন এবং প্রিমিয়াম ভার্শনের মাঝে তেমন ব্যাবধান না থাকলেও প্রিমিয়াম ভার্শন টাকা দিয়ে ক্রয় করার ফলে আপনার নিজেস্ব একটা লাইসেন্স হয়ে যাচ্ছে। আপনি টেমপ্লেট ডেভেলপারদের কাছ থেকে থিম সংক্রান্ত সমস্যায় লাইভ সাপোর্ট পাবেন এই ছাড়া কিছুই না।
আমরা যেহেতু নতুন ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার প্রসেসে আছি প্রথমত আমরা একটি ফ্রী ভার্শন টেমপ্লেট ব্যাবহার করবো। 
আমরা  gooyaabitemplates থেকে Super Fast ব্লগ টেমপ্লেটের ফ্রী ভার্শন ডাউনলোড করে নিলাম। 
ডাউনলোড কৃত Zip ফাইলটাকে Unzip করে নিবো। 
এরপর ব্লগের ড্যাশবোর্ড ওপেন করে Themes অপশনে ক্লিক করবো, নিচেই খেয়াল করুন।
Blog Template Upload.

Theme এ ক্লিক করার পর নতুন একটি ইন্টারফেস শো হবে। 
Blog Theme Upload.

আপনি যদি অন্য থিম ব্যাবহার না করেই ব্লগস্পটের থিম কাস্টমাইজড করতে চান তাহলে Arrow Key উপরে থাকা CUSTOMIZE বাটনে ক্লিক করুন। 
আর ডিফারেন্ট লুকের জন্য Arrow তে ক্লিক করুন। 
Blog Template Upload.
আপনি যখনই নতুন থিম আপডেট করতে যাবেন অবশ্যই আপনার চলমান থিমসের Backup রাখবেন।
কিছু কিছু সময়ে অনেক সাজানো গোছানো জিনিসপত্র এলোমেলো হতে পারে যার ফলে ব্যাকআপ রাখা ফাইলটা কাজে দিবে।
এরপর নতুন থিম আপলোড করার জন্য Restore বাটনে ক্লিক করুন।
Blog Template Upload.
এবার আপলোড কৃত Unzip করা ব্লগের Xml ফাইলটি আপলোড করুন।
আপলোড Complete হলে ভিউ ব্লগে ক্লিক করে দেখে নিন আপনার ব্লগের আগের চিত্র এবং বর্তমান চিত্র কেমন।
অবশ্যই থিম আপডেট করার পূর্বে ব্লগে কিছু পোস্ট লিখে নিবেন। এবং প্রতিটি পোস্ট অনুযায়ী মাস্ট একটি করে পিকচার ব্যাবহার করবেন।
ধরেনিন আপনি মোবাইল সংক্রান্ত একটি পোস্ট লিখলেন তাহলে যে মোবাইলে ব্যাপারে লিখেছেন সেই মোবাইলের একটা ছবি ব্যাবহার করবেন।
এর ফলে ভিজিটর পোস্ট পড়ার আগে ছবি দেখে ক্লিক করতে আগ্রহী হবে। যার ফলে ভিজিটর সন্তুষ্ট হয়ে আপনার লেখাটি মন দিয়ে পড়লো।এমনো হতে পারে উক্ত পাঠক আপনার ব্লগের একজন নিয়মিত ভিজিটর হয়ে গেলো।
ছবির ব্যাপারে Copyright জিনিসটা মাথায় রাখবেন। কোন ছবি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে হুবহু আপলোড করে দিবেন না।
অন্তত পক্ষে ডাউনলোড করা ছবির পিছনে আপনিও একটু Edit করে মডিফাই করে নিন। 
এরপর পোস্ট লেখার মাঝে অথবা তার একটু নিচেই কিংবা এক্কেবারে নিচেই আপলোড করুন।
বোঝানোর স্বার্থে আমি দেখিয়ে দিচ্ছি, নিচেই খেয়াল করুন।
Blog Post Written. 

এভাবে করে আপনার পছন্দ অনুযায়ী পোস্ট লিখবেন, পোস্ট লেখা হয়ে গেলে ডান পাশে দেখুন Setting Key এটাতে ক্লিক করে পোস্টে লেবেল যুক্ত করবেন এবং তার আরেকটু নিচেই স্ক্রোল করলে দেখতে পারবেন Description. 
যেমন এই পোস্টটি মোবাইল ফোন নিয়ে এই জন্য এই পোস্টের জন্য আমি Label দিবো Mobile Phone. 
আর Description লিখবো "অল্প বাজেটে Kingstar নিয়ে এলো আরেকটি দুর্দান্ত মোবাইল ফোন।

সব কিছু লেখা শেষ হলে পোস্টটি আরেকবার রিভাইস দিন, খেয়াল রাখবেন যাতে করে কোন শব্দ অথবা কোন তথ্যের চুড়ান্ত মিস না হয়।
এভাবে করে প্রতিনিয়ত পোস্ট লিখতে থাকুন - এবার আমাদের চতুর্থ ধাপ অর্থাৎ শেষ ধাপের কাজ।
এই ধাপটি মিস করলে এতো কষ্ট বিফলে চলে যাবে কেননা এবার আমাদেরকে ওয়েবসাইট এসইও সহ থিম কাস্টমাইজড করতে হবে।
আমার যদি আমাদের ওয়েবসাইট সঠিক নিয়মে সেটিং করতে ব্যার্থ হয় তাহলে আমাদের পোস্ট গুলো Google এ Index হবেনা। যার ফলে আমাদের সাইটের কোন কিছুই পাঠক/ভিজিটর অব্দি পৌছাবে না।

এই জন্য খুব ঠান্ডা মাথায় এই কাজ গুলো করতে হবে,এমনিতেই আপনাদের অনেক মুল্যবান সময় নষ্ট করে দিয়েছি, এর পরেও যদি এই জিনিসগুলো না দেখাতে পারি তাহলে সবিই বৃথা হয়ে যাবে।
এবার আমরা পুনরায় আমাদের ব্লগের ড্যাসবোর্ডে চলে যাবো। 
Blog Setting.

Description এর কথা খেয়াল আছে তো! এখানে সুন্দর করে আপনার ব্লগের বিষয় বস্তুর সংক্ষিপ্ত বিবরণ লিখুন।
এরপর নিচেই দেখুন Blog language এই সেটিংটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যে ভাষায় ব্লগে লেখালেখি করবেন ঠিক সেই ভাষা সিলেক্ট করুন।আমি যেহেতু বাংলায় লিখবো এই জন্য আমি Bangla-বাংলা সিলেক্ট করেছি।
এরপর আরেকটু নিচেই স্ক্রোল করলে আমরা আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস পেয়ে যাবো।
Blog Time Zone.

অবশ্যই আপনার বসবাসরত দেশ যেটা হবে সেই দেশ অনুযায়ী সিলেক্ট করে নিবেন।
আরেকটু নিচেই স্ক্রোল করলে দেখতে পাবেন ব্লগের আরেকটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ সেটিংস। 
এই সেটিংসটা ব্লগ এবং ব্লগে প্রকাশিত পোস্ট গুলোকে দর্শকের সামনে ব্যাপক ভাবে উপস্থাপন করে।
Blog Meta Tags.

মেটা ট্যাগ এভাবে চালু করে আপনার ওয়েবসাইট অনুযায়ী ১৫০ অক্ষরের ভিতরে বর্ণনা লিখুন।
যখন কেও ডিরেক্ট এই কি ওয়ার্ড দ্বারা গুগলে সার্চ করবে তখনিই সার্চ রেজাল্টে এগুলো প্রস্তাবিত হবে তাই সুন্দর ভাবেই লিখবেন যাতে করে ভিজিটর বর্ণনা পড়ে সাইটে ভিজিট করতে আসে।

এবার আরেকটু নিচেই স্ক্রোল করলে আরও কিছু সেটিংস পেয়ে যাবেন। 
আসলেই একটি পোস্টে সব কিছু করে দেখাচ্ছি এই জন্য ধৈর্য হারাবেন না। আমার জানামতে একটি পোস্টে এই অব্দি এতো কিছু এভাবে কেও দেখায়নি। 
অনুগ্রহ করে আরেকটু সাথে থাকুন আমরা প্রায় শেষ প্রান্তে এসেগিছি।
Blog Robot txt

এক নাম্বার সেটিংসটা এনাবেল করুন, এখানে আপনাকে ব্লগের robot.txt লিখতে হবে।
আমি আপনাদের সুবিধার জন্য রোবট টিএক্সটি লিখে দিলাম এটা আপনারা ব্যবহার করতে পারবেন কোন সমস্যা ছাড়াই। 

User-agent: Mediapartners-Google
Disallow: User-agent: * Disallow: /search Allow: / Sitemap: https://www.example.com/sitemap.xml

Example.com এখানে আপনার ব্লগের ঠিকানা লিখবেন কোন প্রকার ভুল করা চলবে না। এখানে যদি ভুল করেন তাহলে ব্লগের পোস্ট গুলো Index হবেনা কিন্তু।
এবার ৩নাম্বারে দেখুন Google Search Console.
গুগল সার্চ কন্সোলে ক্লিক করার সাথে সাথে এরকম একটি ইন্টারফেস শো হবে।
Blog Search Console.

আমরা যেহেতু Blogspot থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করেছি সেহেতু আমরা ডানপাশে থাকা URL PREFIX সিলেক্ট রেখে নিচে আমাদের ব্লগের Url দিয়ে CONTINUE করবো।
যদি সব কিছু ঠিকঠাক ভাবে করেন আপনি তাহলে এরকম দেখাবে।
URL PREFIX VERIFY.

এরপর বাম পাশের মেনুবারে ক্লিল করে ADD করা ব্লগের PROPERTY সিলেক্ট করুন।
একটু নিচেই খেয়াল করুন SITEMAP নিচের চিত্রের মত। 
Blog Sitemap.

সাইট ম্যাপে ক্লিক করার সাথে সাথে আরেকটি ইন্টারফেস শো হবে এখানে লিখবেন sitemap.xml 
sitemap setting. 

লেখা শেষ হলে SUBMIT বাটনে ক্লিক করবেন। আমার কথা অনুযায়ী সবকিছু করলে নিচের চিত্রের মত দেখাবে।
Sitemap add success. 

এখানে খেয়াল করুন ব্লগের পোস্ট লিস্ট তারিখ ইত্যাদি Show হচ্ছে। এখানে দেখতে পারবেন আপনার ব্লগে মোট কতটি পোস্ট পাব্লিস করা আছে।
আমি একটি মাত্র পোস্ট লিখেছি এক্সাম্পল হিসাবে এই জন্য একটি দেখাচ্ছে।
এবার আপনাকে আরেকটা সেটিংস অন করে রাখতে হবে তানাহলে আমাদের ব্লগটি দেখতে খারাপ লাগবে।
Blog theme setting. 

ব্লগের ড্যাশবোর্ড থেকে Theme অপশনে ক্লিক করে ছবির মত Arrow তে ক্লিক করুন।
আরেকটি ইন্টারফেস শো হলে Mobile সেটিংস এ ক্লিক করে নিচের চিত্রের মত কাজটি করুন।
Theme Setting. 

ডিজাইন কৃত থিমসের Responsive সুবিধা পেতে Desktop এ সিলেক্ট করা না থাকলে এখনি সিলেক্ট করে সেভ করে দিন।
ব্যাস হয়ে গেলো আমাদের ব্লগের কাজ। হয়ে গেলো আমাদের ওয়েবসাইট তৈরির প্রথম প্রক্রিয়ার কাজ।
এখন আমাদের দ্বিতীয় কাজ হবে Template Customize করা। এর জন্য প্রয়োজন হবে বেশ কিছু পোষ্টের। খালি ঘর কখনো দেখতে ভালো দেখায় না যার জন্য আমাদের প্রয়োজন হবে ডেকোরেশনের।

আপনারা হয়তো ব্লগ ওয়েব বানিয়ে ফেলেছেন তাই অবশ্যই কিছু পোস্ট লিখুন, এরপরের পোস্টে আমি দেখাবো সঠিক ভাবে কিভাবে একটি ব্লগ থিমকে কাস্টমাইজড করতে হয়, আশাকরি সাথে থাকবেন এবং Next অর্থাৎ ৫ম ধাপটি শেষ করে দিবো তাই মিস করবেন না।
এই পোস্টে আমি  যে ২টি লোগোর কথা বলেছিলাম সেটা কোথায় কিভাবে ব্যবহার হবে সেটাও ৫ম ধাপে দেখাবো।
আমি যদি আপনাদের ভালো কিছু দেখিয়ে যেতে পারি তবেই আমি ধন্য।লিগ্যাল ওয়ে আজকাল কেও ফ্রীতে শেখাতে চাইনা।প্রথম থেকে যারা এই অব্দি পড়ে আসলেন তারা নিশ্চয় বুঝে গেছেন একটা মোবাইল ফোন দিয়ে কিভাবে এতো কিছুর বিস্তারিত লিখে এবং মোবাইল ফোন দিয়েই ব্লগ ওয়েবসাইট বানাতে কত কষ্ট হয়।
পরের পোস্টে আমরা ব্লগের HTML ও মোবাইল দিয়ে এডিট করে সবকিছু শেষ করবো। আজকের মত আল্লাহ হাফেজ, সাথে ও পাশে থাকুন।
ভুল ভ্রান্তি ক্ষমা করুন, আসসালামুআলাইকুম। 


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url