রোস্টিং কি এবং কিভাবে রোস্ট ভিডিও বানাবেন | Make Roast Video Bangla

আপনি কি রোস্টিং ভিডিও বানানো শিখতে চান?

Make your roast video for youtube & facebook - So lets started.

হ্যালো বন্ধুরা আসসালামুআলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন আপনারা! 
আশাকরি আল্লাহর অশেষ রহমতে সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া নিয়ে মোটামুটি ভালো আছি।
আজ আবার চলে এলাম কিছু কথা নিয়ে, হ্যা আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে "কিভাবে রোস্টিং ভিডিও বানাতে হয় এবং রোস্টিং ভিডিও বানাতে কি কি লাগে। 
রোস্টিং ভিডিও বানানোর পর কিভাবে ভাইরাল করতে হয় এছাড়াও আরো অনেক কিছুই। অতএব আজকের লেখাটি মন দিয়ে পড়বেন আর তারিই সাথে ধারাবাহিক ভাবে আলোচনা করা হবে রোস্টিং ভিডিও সম্পর্কে।

কিভাবে রোস্ট ভিডিও বানাতে হয়

রোস্টিং মানে কি?

খাবার রোস্টে একটা প্রাণীকে যেমন বিভিন্ন মশলাযোগে সুস্বাদু করে খাওয়ার উপযোগী করা হয়, তেমনি রোস্ট ভিডিওতে কোন ব্যক্তির দোষগুণ বর্ণনা করে সমালোচনামূলক ভিডিও তৈরি করে সেটাকে রোস্টের মাধ্যমে প্রতিবাদ করে সত্য এবং মূল ঘটনাকে ব্যাখ্যা করা।
তবে এসব ভিডিওতে সাধারণ নেতিবাচক দিকগুলোকে প্রাধান্য দেয়া হয়ে থাকে বিধায় যাকে রোস্ট করা হয় তিনি এটা পরনিন্দা বা গীবত বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। আর যিনি রোস্ট করেন তিনি বলেন এটা প্রতিবাদী ভিডিও  বা জনসচেতনতামূলক ভিডিও। 
রোস্ট ভিডিওতে প্রধান যে দিক থাকে তা হল অন্যের দোষ বা ভুল তুলে ধরা। যেমন কোন ইউটিউবার যদি অশ্লীল কন্টেন্ট ইউটিউবে প্রচার করে,তাহলে তার সেই কুকর্ম গুলো জনসম্মুখে তুলে ধরে তাদের নোংরামি বন্ধ করার প্রচেষ্টা এবং সেসব অশ্লীল/নোংরা ভিডিওর মাধ্যমে কি কি ক্ষতি হচ্ছে বা হতে পারে তাও তুলে ধরা।
ইউটিউব ও ফেসবুকে বর্তমানে হাজারো রোস্টিং ভিডিও তৈরী হচ্ছে। এই রোস্টিং ভিডিও নিয়ে হচ্ছে বকাবকি, হুমকা-হুমকি যাকে বলতে পারেন কাঁদা ছোঁড়াছুড়ি। তবুও একজন রোস্টার সব-সময় চেষ্টা করেন তাদের কন্টেন্টের মাধ্যমে ভালো কিছু বার্তা প্রচার করা যেগুলো এই ভাইরাল নামক অশ্লীলতার ভাইরাস দমনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কিভাবে রোস্ট ভিডিও বানাবো?

রোস্ট ভিডিও আপনি মোবাইল দিয়েও বানাতে পারেন আবার কম্পিউটার দিয়েও বানাতে পারেন। রোস্টিং এমনই একটা টপিক যেটা বানাতে গেলে কোন প্রকার টিম লাগেনা এবং ভিডিও শ্যুট করার জন্য বাইরে যাওয়া লাগেনা। এর জন্য সুন্দর অথবা একটি গোছালো রুম-ই যথেষ্ট। 
রোস্টিং টপিকে ভিডিও বানিয়ে খুব অল্প সময়ে আপনি হতে পারবেন জনপ্রিয় আর সেই জনপ্রিয়তা আপনাকে এনে দিবে সফলতা।
রোস্ট ভিডিও বানাতে হলে প্রথমে আপনাকে ন্যায়ের দিকে এগিয়ে আসতে হবে এবং ব্যাক্তিগত জীবনে একজন নীতিবান আদর্ষের মানুষ হিসাবে সমাজে পরিচিতি লাভ করতে হবে।
সত্যের সাথে সর্বদা মিশে থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে জোর গলায় কথা বলার অভ্যাস গড়তে হবে।
ইউটিউব ও ফেসবুকের সমস্ত রুলস বুঝতে হবে এর পাশাপাশি ভিডিও এডিটিং ও ক্যামেরার সামনে কথা বলার অভ্যাস গড়তে হবে।
আপনি যখন কাওকে রোস্ট করবেন তার সম্পর্কে খুব ভালো ভাবে খোঁজ খবর নিতে হবে। যতদূর সম্ভব তার সম্পর্কে একটা ভালো বিশ্লেষণ থাকতে হবে।
মানুষটা কেমন, আগে কি করতো, শুরুটা কেমন ছিলো, কেন সে এটা করলো, ফ্যান ফলোয়ারদের মতামত কি ইত্যাদি বিষয়ে লক্ষ রেখে চুল ছেড়া যাচাই বাছাই শেষে সাজানো গোছানো এবং বৈধতার স্পর্শে ভিডিও বানানোর জন্য স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে।
খেয়াল রাখতে হবে যাকে নিয়ে রোস্ট ভিডিও বানানো হচ্ছে সে যেন রোস্টারকে উলটো ধুয়ে না দেয়।

ভূমিকায় স্ক্রিপ্ট 

একেক ভিডিওর স্ক্রিপ্ট একেক প্রকারের। আজকের ভিডিওর টপিক যেহেতু রোস্ট ভিডিও বানানো নিয়ে সেহেতু রোস্টিং নিয়েই বলা যাক।
রোস্টিং ভিডিও বানাতে হলে আপনাকে অবশ্যই স্ক্রিপ্ট লিখতে হবে কেননা যাকে নিয়ে অথবা কোন বিষয় নিয়ে ভিডিও বানাতে হলে উক্ত বিষয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার তাগিতে স্ক্রিপ্ট লেখা বাধ্যতামূলক। আপনি যদি স্ক্রিপ্ট না লিখেও ভিউয়ারসদের বোঝানোর ক্ষমতার অধিকারী হয়ে থাকেন তবুও স্ক্রিপ্ট লিখে কথা বলুন।
স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী কথা বললে দুই ধরণের উপকার পাবেন (১) দর্শক সহযে বুঝবে, যার ফলে আপনার ভিডিওর প্রতি ভালোলাগার সৃষ্টি হবে। তখন মন থেকেই সাবস্ক্রাইব, লাইক,কমেন্ট,শেয়ার চলে আসবে। আপনার চ্যানেলের প্রত্যেকটি ভিডিও দেখার জন্য অপেক্ষা করবে,স্ক্রিপ্ট ছাড়া এই অর্জন সম্ভব নয়।
(২) দুই নাম্বার হল স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী কথা বলার ফলে আপনি ইন্ট্রো এবং আউটড্রোর ব্যাপারে এডভান্স থাকতে পারবেন।
যেমন, ভিডিওটা কিভাবে শুরু করবেন,মুল ভিডিওতে ইন্ট্রো থেকে কিভাবে প্রবেশ করবেন,মূল ভিডিওতে যুক্তি দেখিয়ে এবং সত্য উন্মোচন করে শান্তি সূলভ বার্তা পৌছে দিয়ে  পরিষ্কার ভাবে শেষ করতে পারবেন,এসবকিছুই স্ক্রিপ্ট ছাড়া অসম্ভব। 
বর্তমানে লাখ লাখ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিড়ে একজন সাজানো গোছানো ক্রিয়েটর হওয়াটা অনেক দরকার। আমার মতে ভিডিও বানাতে লেট হলেও একজন সুস্থ ইউটিউবার হওয়াটা বাধ্যতামূলক তাই স্ক্রিপ্টের ব্যাপারে বেশি সময় দিন।
কথা বলার সময় গল্প, সংবাদ পড়ার ভংগিতে কথা বলবেন না। আপনি একে অপরের সাথে যেভাবে কথা বলেন সেভাবেই ক্যামেরার সামনে কথা বলবেন। ভিউয়ারসরা যাতে বুঝতে পারে আপনি কেবলই তাদের সাথেই কথা বলছেন এবং তারা আপনাকে সরাসরি দেখছে।

রোস্টিং ভিডিওর স্ক্রিপ্ট লেখার মাঝে মধ্যে ফানি মেমের কথা অনুযায়ী স্ক্রিপ্ট মিলিয়ে দিন এতে করে বিনোদন আরেকধাপ বেড়ে যাবে।
যাকে নিয়ে ভিডিও বানাচ্ছেন তার সম্পর্কে ছন্দ আকারে স্ক্রিপ্ট লিখতে পারেন। ছন্দের মত মিল রেখে কথা বললে শুনতে বেশ ভালো লাগে, যার ফলে ওয়াচটাইম বেশি পাবেন। আপনি হয়তো জানেন না একটা ভিডিও ভাইরাল হতে সব থেকে বেশি ভুমিকা রাখে ভিডিওর ওয়াচটাইম। তাই ভিডিওটা সাজিয়ে গুছিয়ে এডিট করবেন এবং স্ক্রিপ্ট লিখবেন যাতে করে ৭ মিনিটের ভিডিওর এভারেস্ট ওয়াচটাইম ৪মিনিট+ হয়।

ভিডিও এডিটিং ও মিউজিক।

প্রত্যেকটা ভিডিওর মেইন ভুমিকায় থাকে এডিটিং। একটা ভিডিওকে দেখার উপযোগি করে তুলতে হলে অবশ্যই সুন্দর ভাবে ভিডিওটা এডিট করতে হবে। দেখা গেলো আপনি সুন্দর ভাবে স্ক্রিপ্ট লিখে ভিডিও শ্যুট করলেন অথচ এডিট করলেন ফালতু,তাহলে হবেনা। সিনেমা থেকে শুরু করে যেই ভিডিও হোক না কেন এডিটিং ভালো না হয়লে মার্কেটে চলেনা। 
রোস্টিং ভিডিও বানাতে হলে বেশি এডিট জানতে হয়না তবে একদম কমও না। ভিডিও এডিটিং নিয়ে যারা সমস্যায় আছেন তারা ইউটিউব দেখে শিখতে পারেন।
ভিডিও এডিটিং করার সময় মোটেও মশলা বেশি দিবেন না অর্থাৎ অতিরিক্ত এডিটিং করবেন না। যতটুকু দরকার ঠিক ততটুকুই রাখবেন।
আপনার ভিডিওর ভয়েসের সাথে সুন্দর একটি ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক যুক্ত রাখুন। রোস্টিং ভিডিওতে সাধারণত হিপহপ টাইপের মিউজিক বেশি ব্যবহার হয়।আপনি ইউটিউবের মিউজিক লাইব্রেরি থেকে ফ্রীতে মিউজিক ডাউনলোড করে বিনা ঝামেলায় ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও অনেক ওয়েবসাইটে ফ্রী মিউজিক পাওয়া যায় সেগুলো আপনাকে খুঁজে নিতে হবে।
ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের ভলিওম হাল্কা রাখুন,, আপনার ভয়েসের সাথে আফসা আফসা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক চালান। 
যেখানে ফানি মেমে ও বোঝানোর স্বার্থে অন্যের ক্লিপ/কন্টেন্ট ব্যবহার করবেন সেখানে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দিবেন না। শুধুমাত্র আপনার ভয়েসের সাথে এডজাস্ট রাখুন।

রোস্টিং ভিডিও বানাতে হলে ফানি মেমে ও ফানি সাউন্ড ক্লিপ দরকার হবে। আপনি ইউটিউবে অনেক মেমে ও সাউন্ড ক্লিপ পেয়ে যাবেন। আপনার দরকার ও পছন্দ অনুযায়ী ডাউনলোড করে নিতে পারেন। 
ফানি মেমে ও সাউন্ড ক্লিপ ব্যবহারেও একটু মনোযোগী হতে হবে আপনাকে। অতিরিক্ত মেমে ব্যবহার করলে ভবিষ্যতে ওই ভিডিও দিয়ে ইনকাম করতে সমস্যা হবে। আর আরেকটা ব্যাপার সব সময় মাথায় রাখবেন যে,অন্যের ভিডিও কন্টেন্ট রোস্ট করার সময় যতদূর সম্ভব কপিরাইটের নিয়ম কানুনের ব্যাপারে মনোযোগী হবেন।
আপনি যে ব্যাপার ও যাদের কন্টেন্ট নিয়ে রোস্ট করতে চান,অন্য ক্রিয়েটরদের অনুশরণ করুন এতে অনেক কিছু শিখতে পারবেন।
রোস্টিং ভিডিওর মধ্যে গালিগালাজ করবেন না এতে করে কমিউনিটি গাইড লাইন স্ট্রাইক খেতে পারেন। টুকটাক রাফ কথার সাথে বিপ সাউন্ড ব্যবহার করুন।

আপলোডিং ও টাইটেল ট্যাগ।

ভিডিও বানানোর পরের কাজ হবে আপলোড করা। আপলোড করুন আপনার ইচ্ছামত টাইমে তবে পাব্লিশ করার ব্যাপারে কিছু কথা আপনার জানা দরকার।
ইউটিউবে ভিউস পেতে হলে শুধু কোয়ালিটিফুল ভিডিও বানালেই চলবে না। ভিডিওর ভিউসের পিছনে আপলোড টাইম এবং টাইটেল ট্যাগ ও থাম্বনেইলের ব্যাপার স্যাপার রয়েছে।
প্রতিটি ভিডিও আপলোড দেওয়ার সময় প্রাইভেট রেখে আপলোড করুন। 
এরপর ভিডিওর নাম/টাইটেল ডেসক্রিপশন, ট্যাগ এবং থাম্বনেইল সেটিং করার পর পাব্লিশ করবেন।
আপনি যদি বাংলাদেশি ক্রিয়েটর হয়ে থাকেন তাহলে চেষ্টা করবেন সন্ধা ৭টা থেকে রাত ৯টার আগে ভিডিও পাব্লিশ করতে। এই সময়ে বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে এক্টিভ থাকে যারফলে ভিউস বেশি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে।
একিই সময়ে প্রত্যেকটা ভিডিও পাব্লিশ করবেন,একিই টাইমে প্রতিনিয়ত ভিডিও পাব্লিশ হলে এক সময়ে আপনার কিছু নিয়মিত দর্শক তৈরি হয়ে যাবে। আপনার ভিডিও দেখার জন্য ভিউয়ারসরা সময় মত অপেক্ষা করতে থাকবে।
ভিডিও পাব্লিশ করার আগে ফেসবুকের বন্ধুদেরকে স্টাটাসের মাধ্যমে জানিয়ে দিন অমুক সময়ে নতুন ভিডিও আসছে। 
ভিডিও পাব্লিশ হবার পর থাম্বনেইলের সাথে ভিডিওর লিংকও শেয়ার করবেন ফেসবুকে। 
সব সময় আকর্ষনীয় থাম্বনেইল বানানোর চেষ্টা করুন। একটা ভিডিওর ভিউস কাউন্ট হতে থাম্বনেইলের ভুমিকা অন্যতম। মনে রাখবেন আমরা কিন্তু ফাস্টে থাম্বনেইল দেখে ভিডিওতে ক্লিক করি।
কখনো ফেক থাম্বনেইল বানাবেন না,ফেক ভিউসের জন্য ফেক থাম্বনেইল একটা চ্যানেলের জন্য অভিসাপ। চেষ্টা করবেন রিয়েল থাম্বনেইল বানানোর জন্য। থাম্বনেইলে আপনার ছবি ও ভিডিওর মধ্য থেকে মেইন দুই একটা চরিত্র রাখবেন।

ভিডিও পাব্লিশ করার আগে টাইটেল অর্থাৎ ভিডিওর নাম নিয়ে কিছু সময় রিসার্স করুন। আপনি যে টপিকে ভিডিও বানিয়েছেন উক্ত টপিক ইউটিউব ও গুগলে সার্চ করুন। সার্চ করার পর প্রথম পেইজে যে নাম/ভিডিও গুলো প্রদর্শন হবে খেয়াল রাখুন তাদের টাইটেল গুলো। 
হুবহু নাম ব্যবহার না করে কিছুটা মডিফাই করুন। যেমন ধরুন আপনিও যাকে রোস্ট করেছেন আরো অনেকই তাকে রোস্ট করেছে। আপনি রোস্ট করেছেন আপনার মত করে আর তারা রোস্ট করেছে তাদের মত করে। এখানেই মুল রহস্য লুকিয়ে আছে - আপনার ভিডিও মধ্য থেকে এমন দুটি কথা বেছে নিন যেটা অন্যদের টাইটেলে নাই। 
এক্সাম্পল হিসাবে " হিরো আলমের সারেগামা | Hero Alom | Roast Video | Your Name 
আকর্ষনীয় এবং ইউনিক টাইটেল ব্যবহার করবেন সব সময়। 
রোস্টিং ভিডিওর মধ্যে হাসিখুশি ভাবে নিজেকে প্রকাশ করুন এতে করে আপনি ব্রান্ডে পরিনত হতে পারবেন।

শেষ কথা 

কেও কাওকে কোন কিছু হাতে কলমে শিখিয়ে দেয়না। বেসিক ধারণা আর নিজেস্ব মনোবল ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। আশাকরি আজকের লেখার মধ্য থেকে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন। রোস্টিং ভিডিও বানানোর ক্ষেত্রে অন্য রোস্টারদের ভিডিও গুলো ফলো করবেন। চেষ্টা করবেন তাদের চেয়ে ভালো ভিডিও বানানোর জন্য। এভাবেই এগিয়ে যান,শুভকামনা রইলো। আল্লাহ হাফেজ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url