আমাদের মনিরামপুর | Monirampur Upazila
মুণিরাম ঋষির মনিরামপুমনিরামপুর - আমাদের মনিরামপুর।
মনিরামপুর শব্দটা শোনার সাথে সাথে মনের মাঝে কেমন জানি একটা ভালো লাগার সৃষ্টি
হয়ে যায়।
হাজার শত মাইল দূরে তবুও যেন মনিরামপুরের কথা শুনে কিছুটা থেমে যাওয়া। মনে পড়ে
যায় আমাদের শেকড়ের কথা, মনে পড়ে যায় প্রিয় মনিরামপুরের বিশুদ্ধ নিশ্বাস আর
গ্রামীণ জনপদে মিশে থাকা বাল্যকালের সৃতিগুলো ।
এখানে আমাদের জন্ম, এখানে আমাদের বেড়ে ওঠা,এখানে আমাদের পথ চলা।
এখানেই নাড়ির সম্পর্ক,আপনি যেখানেই থাকুন না কেন,শেকড়ের প্রতি টান আসবেই,তাইতো
প্রিয় মনিরামপুরের নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় আমাদের আতুর ঘরের কথা।
বিখ্যাত যশোর জেলার এক অন্যতম উপজেলা মনিরামপুর। স্বাধীনতার গল্প থেকে শুরু করে
মনিরামপুর রয়েছে সর্বাধিক ভাবে এগিয়ে।
৪৪৪ বর্গকিলোমিটারের এই মনিরামপুর বাংলাদেশের ২য় বৃহৎ উপজেলা। ১৭টি ইউনিয়ন এবং
২৩৮টি গ্রাম মনিরামপুরের ডালপালা।
মনিরামপুর নিয়ে রয়েছে নানা ইতিহাস।
তথ্যে এসেছে মুরশিদাবাদের প্রতাপশালী জমিদার প্রেমত্বকরের পুত্র জলকর এবং
প্রাজ্ঞ ধ্যানী সাধক মুণিরাম ঋষি’র একমাত্র কন্যা রূহিতার প্রেম উপখ্যানের
ধারাবাহিকতায় সৃষ্টি হয় মণিরামপুর।
এই জনপদের ইতিহাস গবেষণায় বহু পৌরানিক কাহিনী ভেসে ওঠে। ভেসে ওঠে স্রোতস্বিনী
হরিহর নদের তীরে গড়ে উঠা ইতিহাসের চোরাবালিতে বিলুপ্ত প্রায় মণিরামপুরের নানান
লোকগাঁথা।
১৯১৭ সালে ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় মণিরামপুর থানা।
ঐ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ার পর ১৯১৮ সালের ১লা
জানুয়ারী থেকে মণিরামপুর থানার কার্যক্রম চালু হয়।
১৯৮৩ সালের ১৫ই এপ্রিল উপজেলায় রূপান্তর হয়।
মনিরামপুরের লোকজন অত্যন্ত মিশুক হয়ে থাকে,কৃষি নির্ভর এই মনিরামপুরের
মানুষজনের রয়েছে কুঠির শিল্পেও ব্যাপক অবদান।
হিন্দু মুসলিম আরও অন্যান্য ধর্মের মানুষগুলোর বসবাস খুব নিকটতম। শিক্ষা
সংস্কৃতি ও খেলাধুলা সব কিছুতেই মনিরামপুর তো আছেই।
বর্তমান সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয়
প্রতিমন্ত্রী জনাব স্বপন ভট্টাচার্য এমপি মহোদয়ও এই মনিরামপুরের সন্তান।
ঝাপা বাওড়ের উপর নির্মিত দেশের সব চেয়ে দীর্ঘতম ভাসমান সেতু, ভোজগাতির দমদম
পীরের ঢিবি মনিরামপুরের দর্শনীয় স্থান।
এই মনিরামপুর ভ্রমণকালে আপনি আরও দেখতে পারবেন নকশি কাথার মাঠ,বিখ্যাত খেজুর
গুড় খ্যাত খেজুর গাছের সারি, মাছের ঘের, নতুন ফসল ঘরে তোলার আমেজে কৃষকের দলছুট
এছাড়াও আরও অনেক কিছু।
মাটি ও মানুষের এই মনিরামপুর আমাদের গর্ব,মনিরামপুর আমাদের অন্তস্থলে মিশে -
তাই তো মনিরামপুর প্রিয় সকলের ভিড়ে আমরাও একদল মনিরামপুরিয়ান।
আমাদের গর্বের এই মনিরামপুর বাসীর একটায় সমস্যা তা হল জলাবদ্ধতা। আশাকরি ভবদহ
প্রকল্পের স্থায়ী সমাধানের মাধ্যমে আরেকধাপ উজ্জিবিত হবে প্রাণের মনিরামপুর।
সাথে সাথে আমাদের হোম টাউন মনিরামপুর বাজার সংলগ্ন যশোর সাতক্ষিরা মেইন সড়কটির
দ্রুত রিপেয়ার করার বিনীত আহবান রইলো।
একজন মুমুর্ষ ব্যাক্তিকে দ্রুত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়াটা আমাদের কাছে অনেকটা
টাফ।