কেশবপুর উপজেলা সম্পর্কে জানুন

ইতিহাস আর ঐতিহ্যে ঘেরা আমাদের প্রিয় জেলা  যশোর। যশোর একটি অতি প্রাচীন জনপদ। যশোরের ইতিহাস ঐতিহ্য ঘিরে মিশে আছে শত শত গুনি ব্যাক্তিদের জীবনী। তেমনই আজকে আপনি দেখতে চলেছেন যশোর জেলার এক সময়ের দ্বিতীয় বানিজ্যিক কেন্দ্রস্থল কেশবপুর নিয়ে প্রতিবেদন,প্রিয় কেশবপুর অর্থাৎ হনুমানের রাজধানী।

গবেষকদের তথ্য মতে ১৮০২ সালে কেশবপুর নামটি প্রথম শোনা যায়।
যশোর তালা সড়ক ঐ সময় তৈরী হচ্ছিল। কেশবপুর খালের উপর ১৮৬০ সালে জিতরাম সাহা একটি পুল তৈরী করেন এরপর  চার বছর পর কেশবপুর থানায় উন্নীত হয়। খালের উত্তর পাশে এবং দক্ষিণ পাশে তখন হাট বসতো। পুরনো হাট অংশের মালিক ছিলেন সুখময় মুখার্জী এবং নতুন হাটের মালিক ছিলেন কেশবপাটনি। কেশবপুর হাট নিয়ে রয়েছে আরও অনেক জনশ্রুতি। তবে গবেষকদের মতে কেশবপাটনির নাম ধরেই উঠে এসেছে কেশবপুর নামটি।

১৮৬৯ সালের ১৪ই জুন এখানে থানা স্থাপিত হয়। ১৫ই ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে কেশবপুর থানাকে উপজেলায় উন্নীত করা হয়।
১টি পৌরসভা,১১টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১৪৩ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত হয় প্রিয় কেশবপুর।

২৫৮.৫৩ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট কেশবপুর উপজেলা। উত্তরে মনিরামপুর, দক্ষিণে তালা, পূর্বে ডুমুরিয়া এবং পশ্চিমে কলারোয়া উপজেলা দ্বারা বেষ্টিত কেশবপুর অঞ্চল।
যশোর শহর থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইতিহাস ঐতিহ্যে ঘেরা প্রিয় কেশবপুর উপজেলা।

প্রাচীন নিদর্শনে ঘেরা এই কেশবপুরের সবথেকে  অন্যতম স্পট গুলি, ভরত ভায়না অর্থাৎ রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ যার আরেকনাম ভরতের দেউল। মীর্জানগরের হাম্মামখানা,নবাব মীর জুমলার বাড়ি। সাগরদাঁড়িড় কবি মধুসূদন দত্তের বাড়ি।
বিদ্যানন্দনকাঠি গ্রামে প্রাচীন দূর্গের ধ্বংসাবশেষ।১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের শেখপুরা তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদ। জাহানপুর মসজিদ, নবাব বাড়ির মসজিদ,চালিতাবাড়িয়া মন্দির,খাঞ্জালি দিঘি।

কপোতাক্ষের কোল ঘেসে দাঁড়িয়ে আছে প্রিয় কেশবপুর উপজেলা। কৃষি,খামার,মাছ চাষ এবং কুঠির শিল্পগুলো কেশবপুর বাসীর ইনকামের মুল কেন্দ্র। শিক্ষা সংস্কৃতি খেলাধুলা সব মিলিয়ে কেশবপুর বাসী প্রচন্ড রঞ্জিত।। প্রিয় কেশবপুরের স্পর্শে রঙিন হোক আপনার প্রতিটি দিন,সেই সাথে স্বাধীনতার গর্ব বুকে নিয়ে প্রিয় কেশবপুর এগিয়ে যাক আরেকধাপ।
হুনুমানের রাজধানী কেশবপুর উপজেলা যশোর


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url